আরেক নক্ষত্র হারালো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
গত কয়েক মাস ধরেই যা ভাবছিলেন, তা অবশেষে চূড়ান্ত করলেন মিচেল জনসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের সাথে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ টেস্ট শেষেই বল তুলে রাখবেন বাঁহাতি এই পেসার। তার বিদায়ের মাধ্যমে আরো এক নক্ষত্রের পতন ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে।
পার্থের ওয়াকায় নিউজিল্যান্ডের সাথে চলমান টেস্টের শেষেই নিজের অবসর কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জনসন। অর্থাৎ মৌসুমের বাকি সময়টা তার আর খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের চতুর্থ সেরা টেস্ট উইকেট শিকারী হিসেবে অবসরে যাচ্ছেন জনসন। ৭৩ টেস্টে ৩১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নতুনভাবে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করা অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র ছিলেন জনসন। দুই বছর আগে ৫-০ ব্যাবধানে অ্যাশেজ জয়ের পিছনে তারও গুরত্বপূর্ণ অবদান ছিলো।
অজিদের হয়ে জনসনের চেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন কেবল ডেনিস লিলি (৩৫৫), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) এবং শেন ওয়ার্ন (৭০৮)। এই তালিকায় জনসনই একমাত্র ক্রিকেটার ব্যাট হাতে যার সেঞ্চুরিও আছে।
২০০৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব জিতেন জনসন। তবে ২০১০ সালে হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে বসেন তিনি। অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিরস্কারও সহ্য করতে হয় তাকে। ২০১১ সালে পায়ের মারাত্মক এক ইনজুরিতে ক্যারিয়ারই শেষ হতে বসেছিলো জনসনের।
নিজের বিদায়ের ঘোষণায় জনসন বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনই বিদায় বলার শ্রেষ্ঠ সময়। দেশের হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত খেলতে পেরে আমি গর্বিত। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় আমার দারুণ কেটেছে। কিন্তু একটা না একটা সময় ঠিকই সব ফুরিয়ে আসবে। ওয়াকার মতো বিশেষ জায়গায় ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরে আমি খুশি।’
জনসনের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০০৫ সালে। দুই বছর টেস্ট জার্সিও গায়ে উঠে তার। ৭৩ টেস্টে ৩১১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ১৫৩ ওয়ানডেতে তার শিকার ২৩৯ উইকেট। ৬১ রানে আট উইকেট নেয়া তার টেস্ট সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আর ওয়ানডে রেকর্ড ৩১ রানে ছয় উইকেট। জনসনের বিদায়ে অজি পেস আক্রমণ কিছুটা হলেও শক্তি হারালো।
0 comments:
Post a Comment